জেনে নিন কচুর লতির গুনাগুন ও উপকারিতা

আমাদের সবার কাছে একটি অতি পরিচিত সবজির নাম কচু। সেই সঙ্গে আমাদের প্রিয় কচুর লতি ও। কচু লতিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা মানব দেহের জন্য খুবই দরকারী। বাংলাদেশে প্রায় সব এলাকাতে কচু জন্মায়।

কচুর লতিতে আসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। গর্ভ অবস্থায়, খেলোয়ার, বাড়ন্ত শিশু, কেমো থেরাপি রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী এই কচুর লতি।

কচুর লতি খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়

গরমে এবং শীতে পানি স্বল্পতা দূর করার জন্য কচুর লতির গুনাগুন খুবই উপকারী। কচু লতিতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন এবং ভিটামিন বি রয়েছে ,যা মস্তিষ্কের পুষ্টিতে এটি সাহায্য করে।


আরো পড়ুনঃ বৃষ্টির দিনে কেন খাবেন কাঁঠাল বিচির ভর্তা।

যাদের শরীরের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা বেশি কচুর লতি খেলে কোলেস্ট্ররল কমাতে সাহায্য করে। রাতকানা রোগীদের জন্য কচুর লতি খুবই উপকারী যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে খুবই সাহায্য করে।

কচু খেলে কি রক্ত বাড়ে

প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন এবং আয়রন থাকার কারণে এটি মানবদেহে রক্তের স্বল্পতা দূর করে। কচুতে আসে নানান রকম ভিটামিন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাহায্য করে। কচু এবং কচুর লতি দামে বেশ সস্তা মহিলারা গর্ভবতী অবস্থায় আয়রন এবং ভিটামিনের দূর করার জন্য কচুর লতি খেতে পারেন।


কচুর লতি খেলে কি ওজন বাড়ে

না কচু লতি খেলে ওজন বাড়ে না । কচুর লতিতে স্বল্প পরিমাণে ক্যালরি এবং শর্করা থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে যার ফলে ওজন কমাতে এটি খুব ভালোভাবে সহায়তা করে। কচুর লতি হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সুতরাং ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কচুর লতি রাখা উচিত কারণ এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের আয়রন এবং ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে।

ডায়াবেটিসের ও গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করেঃ 

কচু লতি রক্তে চীনের মাত্রা বাড়ায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিঃসংকোচে কচুর লতি খেতে পারে 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শামীম ব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

comment url